ভাইরাস কম্পিউটার দুনিয়ার জঘন্য আর ক্ষতিকর একটা বস্তু বা ফাইলের নাম। আচ্ছা ভাইরাস নেই এমন কোন কম্পিউটার কি আপনি কখনো দেখেছেন। আমি জানি না আপনি কি বলবেন, তবে আমি মনি করি আপনি যদি এই বিষয়ে তেমন ধারনা না রাখেন, তাহলে এই পোস্টটি আপনার ভালোভাবে পড়া উচিৎ।
এই পুরো পোস্টে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্চি যেসকল বিষয় তা নিচে দেওয়া হলোঃ
- ভাইরাস কি
- ভাইরাস কোথা থেকে এসেছে
- ভাইরাস কত প্রকার
- ভাইরাস থেকে বাচার উপায়
- ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার ফ্রি সফটওয়্যার
- অ্যান্ড্রয়েট ফোনের ভাইরাস ও ভাইরাস ডিলেট করার সফটওয়্যার
- কম দামেই ভালো মানের একটি পেনড্রাইভ
ভাইরাস কি
প্রথমত ভাইরাস নিয়ে অনেক ধরনের মতাভেদ রয়েছে। যেহেতু এটা একটি খারাপ বা ক্ষতিকর জিনিশ তাই এর আসল তথ্য সবসময় ই লুকিয়ে রাখা হয়।
তবে যতুটুকু জানাযায় , এটা হ্যাকারদের একটি ফাদ। বলা হয়ে থাকে এটি মানুষের কম্পিউটার থেকে তথ্য চুরি করা, কম্পিউটরকে আয়ত্বাধীন করা, খেয়াল মত ডেটা কম্পিউটারে ঢুকানোর জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে।
এটি স্বাধারন নিজে থেকেই কাজ করতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে যে সকল বিষয় উল্ল্যেখ যোগ্য, তার কিছুটা প্রকাশ করার চেষ্টা করবো। এই ফাইল বা প্রগাম গুলো, নিজে থেকে কপি, অন্য ফাইলে ট্যানেস্ফার, অন্য ডিভাইসে শেয়ার, নিজে নিজে রান, নিজেই আনস্টল সহ আরো অনেক ধরনের কাজ করতে পারে।
আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, ওরা অদের কাজ শেষে বা কাজ না করতে পারলে, আপনার কম্পিউটরকে প্রচুর ক্ষতি করে যায়। কেননা আপনি হয়তো যেনে থাকবেন, এই ফাইলগুলো কোন প্রকার ভালো কাজের জন্য তৈরি করা হয় না।
ভাইরাস কোথা থেকে এসেছে
আমরা উপরে জেনেছি যে এই এন্ট্রি ভাইরাস বা কম্পিউটরের ভাইরাস কি, এর সমন্ধে। ওই রকম ভাবেই এবার বেসিক ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করবো, যেএই ভাইরাস কোথা থেকে এসেছে।
ক্রিপার সিস্টেম নামে ১৯৭১ সালে প্রথম এই ভাইরাসের দেখা মিলে। আর এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট থেকে তৈরি করা হয়েছিল। এই ভাইরাসটি যতক্ষন না কোন কম্পিউটরকে সম্পুর্নরুপে নষ্ট না করে, ততক্ষন পর্যন্ত থামে না। তবে এটি ছিল পরিক্ষা মুলক একটি ভাইরাস।
এর পর ধীরে ধীরে অনেক ভাইরাসের দেখা মিলে। তবে সেগুলো কারো ক্ষতির জন্য নয়, বরং সেগুলো পরিক্ষা করে কম্পিউটারকে আরো শক্তিশালী করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
পরে ১৯৮৮ সালে দ্যা মরিস নামে একটি ভাইরাস প্রথমবার মানুষের ক্ষতির জন্য প্রয়োগ করা হয়। মাত্র ১৫ ঘন্টায় আনুমানিক ১৬০০০ কম্পিউটারকে বিনাশ করেছিল।
মোবাইল VS কম্পিউটার
আমরা কম্পিউটর বলতে অনেকেই শুধু পিসি বা ডেকসটপকে চিনি। কিন্তু আসলে মুল ব্যাপারটা তেমন নয়। মোবাইল ,ট্যাব, ল্যাপটব, ডেক্সটব, ট্যাবলেট সহ সকল প্রকার ডিভাইসকেই মুলত কম্পিউটর বলা হয়।
ভাইরাস কত প্রকার ও কি কি
হাজার হাজার রকমের ভাইরাস রয়েছে। হাজার হাজার হ্যাকার তাদের কাজের জন্য এই ভাইরাসের জন্ম দিয়েছে। তাই এর নিদৃষ্ট সংখ্যা বলা সম্ভব না।
তবে যে সব ভাইরাস অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, সেগুলো তারাতারি মানুষের ক্ষতি শুরু করে। ফলে মানুষ অতি দ্রুতই তার বিরুদ্ধে, পতিরোধ শুরু করে। ফলে সেটি আর কারো কম্পিউটরে প্রবেশ করার সুযোগ নাও পেতে পারে, আর যে সকল ডিভাইসে আগেই ঢুকে পড়েছে, সেখান থেকেও রিমুভ করার কোন না কোন উপায় বের করে।
কিন্তু যে সকল ভাইরাস নিরবে, ধীরে ধীরে আমাদের কাছে এসেছে, বা আমাদের ডিভাইসে ঢুকেছে, সেগুলো অনেক বেশি ক্ষতি করে, কেননা আমরা এগুলোকে সহজে ধরতে পারি না।
আর এই ফাইলগুলো বেশির ভাগই থার্টপার্টি অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। তাই এই থার্টপার্টি সাইট এবং সফটওয়্য়ার থেকে দুরে থাকতে হবে। আর যদি ভালো সফটওয়্যার গুলো আমাদের কাছ থেকে নিতে চান তাহলে আমাদের সাইটে ফলো করে রাখুন।
আর থার্টপার্টি সাইট বা অ্যাপ তাকেই বোঝানো হয়, যেটা সিকিউরটিফুল কোন ওয়েবসাইট বা কম্পানিতে রাখা হয় না। তার মধ্যে অন্যতম হলো, ভিটম্যাট এই ভিটম্যাট নিয়ে আমরা অলরেডি একটা পোস্ট করে রেখেছি।
ভাইরাস থেকে বাচার উপায়
ভাইরাস তো সকল মোবাইল বা কম্পিউটরেই থাকে। তবে সেখান থেকে বাচার জন্য নিজের সচেতনতার বিকল্প কোন পথ নেই। আর আপনার সচেতন হওয়ার বিষয়ে আজ কিছু টিপস বলে দিব। এগুলো শুধু মাত্র আপনার সচেতনতার কাজে লাগবে।
আমরা ইন্টারনেট ব্যাবহার করি, প্রায় সবসময় ই। একটা সময় ছিল যখন মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহার করতো খুবই কম। তখন যেমন তথ্য পাওয়ার জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন হতো,ঠিক তেমন ই ফাইরাস যুক্ত ফাইল ও আসতে অনেক সময় লাগতো।
পাশাপাশি যদি ইন্টেরনেট ব্যাবহার ই না করা হয়, তাহলে হ্যাকাররাই কিভাবে ডেটা নিবে, তাই অনেক ক্ষেত্রে তারা এই ধরনের অ্যাটাক করতো না।
কিন্তু বর্তমান সময়ে, আমাদের জন্য যতটা সহজ হয়েছে, মোবাইল বা কম্পিউটর ব্যাবহারের সাথে ইন্টারনেট। ঠিক ততটাই কঠিন হয়েছে, এই ভাইরাস যুক্ত ফাইল গুলো থেকে বাচাটা।
তবে যাই হোক, রাস্তা বড় হলে দুর্ঘটনাও বাড়বে, কিন্তু তাই বলে তো আর বসে থাকা যাবে না। শুধু মাত্র সচেতনতাই পারে আমাদের এই বিপদ থেকে রক্ষা করতে। তাই প্রচুর সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
তাছাড়াও সবসময় ই নিজের দরকারী ফাইলগুলো বা সফটওয়্যার গুলো ভালো মানের পেন ড্রাইভে রাখা উচিৎ। কেননা ভাইরাস ঢুকে পড়লে মোবাইল বা কম্পিউটরকে ফ্লাশ করা প্রয়োজন হয়। অনেক ক্ষেত্রে অনেক ডেটা লস ও হয়ে যায়। তাই সবার ই পারসোন্ল ভাবে ভালো মানের একটা পেনড্রাইভ ব্যাবহার করা উচিৎ।
ভালো একটি পেনড্রাইভ অনলাই থেকে কিনতে এই লিংকে যেতে পারেন।
- 790 bdt 64 gb pendrive buy
- 1500 bdt 128 gb pendrive buy
- 2700 bdt 256 GB pendrive buy
- 695 bdt 32 gb pendrive buy
এগুলো অন্য যে কোন পেনড্রাইভ ব্যাবহার করতে পারেন। তবে ভালো পেনড্রাইভ না হলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই আমার মতে এখান থেকে কিনে নেওয়াই ভালো।
ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার ফ্রি সফটওয়্যার
ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার বা ভাইরাস স্ক্যান করার অনেক সফটওয়্যার আছে। সেখানে পেইড এবং ফ্রি সব ধরনের ই পাওয়া যায়। তবে ফ্রি পেলে কে আর টাকায় নিতে চায়। ফ্রিতেই বা টাকার মালটা কে দিবে।
ফ্রিতে যে সকল সার্ভিস দিয়ে থাকে, তা দিয়ে সব কিছু করা সম্ভব হবে না। তবে মোটামুটি চলে।
আমি নিচে কয়েকটি সফটওয়্য়ারের লিংক দিয়ে দিব। সেখান থেকে ভালো মানের সফটওয়্যার ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আর সেটা ব্যাবহার করে ভালো ফলাফল ও পাবেন।
পিসি বা উইনডোস সফটওয়্যার
যদি আপনি উইনডোস ইউজার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার উইডোস এর মেয়াদ ঠিক থাকলে সেখানেই এন্ট্রি ভাইরাস সফটওয়্যার পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে ব্যাবহার করাটাই অনেক বেটার হবে। সফটওয়্যারটি খুজে পেতে সমস্যা হলে, উইনডোস এর সার্স বারে এন্ট্রিভাইরাস লিখে সার্স করলেই পেয়ে যাবেন।
আর যাদের উইনডোস এর মেয়াদ শেষ বা উইনডোস ছাড়া অন্য কোন সফটওয়্যার ব্যাবহার করতে চান, তারা AVG অ্যাপটি ব্যাবহার করতে পারেন। এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে তাদের অফেশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ফ্রি এবং পেইড যে কোন ভার্ষন ই ডাউনলোড করতে পারবেন।
LINUX ব্যাবহার কারীদের জন্য
যারা লীনাক্স প্রগামকে ব্যাবহার করেন, তাদের জন্য রয়েছে clamav এটাও ফ্রি এবং পেইড ভার্ষন ব্যাবহার করতে পারবেন।
এবং এই অ্যাপটা APPLE ব্যাবহারকারী রাও ব্যাবহার করতে পারেন।
অ্যান্ড্রয়েড এর জন্য এন্ট্রিভাইরাস সফটওয়্যার
অ্যান্ড্রয়েড এ ভাইরাস আছে, কি নাই। এই বিষয়ে অনেকেই অনেক কিছু বলে। যেখানে অ্যাপেলেই ভাইরাসের অ্যাটাক হয়ে থাকে। সেখানে অ্যান্ড্রয়েড আবার কে।
যাই হোক, অ্যান্ড্রয়েডের জন্যও AVG MOBILE অ্যাপটি ব্যাবহার করতে পারেন।
0 Comments