এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো 2021(affilite marketing bd 2021) পোস্টে HELPLINE BD360 ওয়েব সাইটে আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এই পোস্টে টি শুরু করতেছি।
আমি আশা করি এই পোস্ট টি যারা পড়তে এসেছেন তারা সবাই ই এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো ধারনা নিয়েই এসেছেন।কারন এটা তো এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার একটি পোস্ট।তার পরেও যদি কেউ নতুন হয়ে থাকেন তাদের জন্য আমি সামান্য টার্চ করে দিব। বিষয়টির উপর। তবে হ্যা, একদম ই নতুন হলে অবশ্যই এটা আপনার জন্য না।আপনি আগে এফিলিয়েট মার্কেটিং সমন্ধে মোটা মুটি বুঝে এই পোস্ট টি পড়তে আসবেন। আর চাইলে আগে পড়ে যেতে পারেন সমস্যা নেই,কিছুটা ধারনা পেতে পারেন।
আজ যে বিষয় গুলো বুঝতে পারবেন এই পোস্ট টি থেকে।
- কি ভাবে শুরু করতে হবে
- কি ভাবে সফল হতে পারবেন
- কি কি লাগবে
- ভবিশ্যত পরিকল্পনা
- পেইড আর ফ্রি এর পার্থক্য
- ফ্রি কিভাবে করলে ভালো হবে
- পেইড কত %গেরেন্টি আছে
- কোন সাইট নিয়ে কাজ করলে ভালো হবে
- পরবর্তি পোস্ট
যেহেতু কাজটা লাইফ টাইমের জন্য,তাই আমি শুরুটা এই ভাবে করিয়ে দিব।কিন্তু বাকিটা পরবর্তি সসময়ের সাথে সাথে আলাদা আলাদা গাইড লাইন করে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
এফিলিয়েট কি
এফিলিয়েট কি এটা নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই তবে এই টুকু বলে রাখি।এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো কোন প্রতিষ্টান আমি আবারো বলছি,কোন প্রতিষ্টান বা কম্পানি অফবা কোন এডমিন বা লোকের কোন পন্য বা পোডাক্টস তার অনুমতি সপেক্ষে সেল করে দেওয়া বা ক্রেতা খুজে তার কাছে পাঠানোকেই এফিলিয়েট বলে।এটা মার্কেটিং এর একটা অংশ হওয়ায়, এটাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।
এই মার্কেটিং বা এক কথায় এফালিয়েট মার্কেটিং এর ফলে আপননি লাভবান হতে পারবেন।এখানে আপনার কোন ইনভেস্ট বা চালান লাগবে না।আপনি চাইলে সম্পার্ন ফ্রিতেই কাজটি করতে পারেন।
আপনি যখন কষ্ট করে কোন কম্পানির সেল এনে দিবেন অথবা তাদের কোন একটা ক্রেতা বৃদ্ধি করে দিবেন,সে ক্ষেত্রে তারা তাদের ওই পন্য়টি বিক্রি করে যে লাভবান হযেছে,বা যে টাকা লাভ করেছে তা থেকে আপনার শ্রমের জন্য নিদৃষ্ট একটা এমাউন্ট বা রেভিনিউ আপনাকে দিবে । আর সেটা কত %দিবে তা তারা নিজেরাই ঠিক করে নিবে। তাদের দেওয়া এমাউন্টে যদি আপনি কাজটি করতে চান তাহলেই করতে পরবেন।বা আপনি চাইলে তাদের সাথে যোগাযোগ করে এটা বাড়িয়েও নিতে পারবেন।শর্ত হলোঃ প্রতি মাসে আপনার মার্কেট প্লেস বা ওয়েব সাইট সহ আপনি যে স্থানের মাধ্যমে এই পন্যগুলো সেল করে দিচ্ছেন সেটা ভালো মানের হতে হবে।মানে অনেক সেল থাকতে হবে।আপনি যদি বেসি সেল আনতে পরেন,তাহলে সেই সেলের প্রফ দেখিয়ে আপনি তাদের থেকে এই রেভিনিউটা বড়িয়ে নিতে পারবেন।
কি ভাবে সফল হতে পারবেন
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কয়েকটি ধাপ রয়েছে।সে গুলো নিচেই পাবেন।তবে সফল হওয়ার গাইড লাইন হিসেবে আমি বেশি কিছু দিব না।কারন এফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হওয়ায় তেমন কিছু করতে হয় না।বেসি কষ্ট করতে হয় সি পি এ মার্কেটিং এ।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হতে হলে আপনার সবচেয়ে বড় বিষয় হলো সঠিক স্থানটি খুজে বের করা।এবার আপনি হয়তো ইন্টারনেটে সার্স করতে পারেন( এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সঠিক স্থান কোন গুলো।) এ ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু ওয়েব সাইট কিছু লিংক ও দিতে পারে।কিন্তু বিস্বাস করেন,এই লিংক গুলো থেকে কখনোই সফল হওয়া সম্ভব হবে না।কারন আপনি আলু চাষ করতে চাচ্ছেন কিন্তু সে কি তা জানে।অবশ্যই জানে না।তাহলে সে তো আপনাকে আর ধানের চাষের খেত টি দেখিয়ে দিবে।আর সে যে ধান চাষ করে সফল হয়েছে সেটার প্রুভ ও দেখাবে।কিন্তু ওই জমিতে কি আপনি আলু চাষ করে কোন দিন ভালো ফল নিতে পারবেন।আমার মনে হয়,শেষে কষ্টটাই বৃথা যাবে।
মার্কেটিং কি নিয়ে করতেছেন সেটা বিষয় না।আপনি যদি ২০০ টাকার ঘড়িও ১০০টি সেল দিতে পারেন তাতেই মাস শেষে ভালো টাকা আয করা সম্ভব হবে। কিন্তু ১০০০ টাকার কোন পন্য যদি ১টা বা ২টা সেল দেন তাহলে আপনার কি কোন ইনকাম আসবে। অবশ্যই হবে না।
তাই মার্কেটিং এর জন্য সঠিক স্থান টি খুজে বের করে নিতে হবে।আর এটা কোন কারোর উপর নির্ভর না করে নিজেই খুজে নেয়া ভালো হবে।আপনি যদি ঘড়ি নিয়ে কাজ করেন,তাহলে খুজে নিতে হবে কোথায় কোথায় ঘড়ি কেনার মতো মানুষ রয়েছে।তবে হ্যা সুধু সুধু লিংক বার বার শেয়ার করলে কিন্তু সমস্যায় পড়বেন। সাড়াদিন ভাববেন আর রিসার্স করে দেখবেন যে,কোন কোন যায়গাতে ঘড়ি লাভার মানুষ গুলো থাকে।সেই সেই স্থানে একটা ভালো মানের পোস্ট লিখে,ভালো একটা ইমেজ দিয়ে মানুষ কে আকর্ষিত করে নিয়ে আসবেন।
এফিলিয়েট এ আসার সময় একটা কথা সব সময় মাথায় রাখবেন।এফিলিয়েট লাইফটাইমের জন্য করা যায়।কিন্তু আপনি সেই ভরসায় থাকবেন না।যখন প্রতিটি বায়ার আপনার লিংক থেকে কিছু কিনবে তখন আপনার উপর তার অগাদ বিস্বাস চলে আসবে।আর তখন আপনি আপনার নিজস্ব কোন একটা গ্রুপে তাকে যোগ দিতে বলবে।বুঝিয়ে বলবেন,যে এটা আমার গ্রপ,এখানে আমি ভালো প্রডাক্ট গুলো সেয়ার করে থাকি।তাই আপনি আমাদের গ্রুপে আসলে ভবিশ্যতে আমাদের থেকে পন্য কিনতে সহজ হবে।আর কোন ধোকাবাস সেলারের কাছে আপনার পস্তাতে হবে না।-এই ভাবে যখন আপনি তাকে একটা মেসেেজ করবেন,তখন অবশ্যই সেই লোকটি আপনার গ্রপে জয়েন হবে।মানে আপনি ও লাইফ টাইমের জন্য একটা সেলার পেয়ে জাবেন।
আর এটাও লক্ষনীয়,যে আপনার মুল উদ্যেশ্য যেন সেল না হয়।আপনি কখনোই সেল নিয়ে ভাববেন না।আপনি ভাববেন কি ভাবে বায়ারদের খুশি রাখা যায়।ভাালো পন্যগুলোই এফিলিয়েটের জন্য ব্যাবহার করবেন।আর মানুষ গুলো কোন পন্য কিনতে আগ্রহী তা নিয়ে রিসার্স করতে থাকবেন।কোন জিনিস টা বেসি সেল হচ্ছে। ইত্যাদি বিষয় আছে।এগুলো ধারাবাহিক পোস্টে জানাবো।এখানে গুগল থেকে ও জানতে পারবেন যে কোনটা বেসি সেল হচ্ছে।
কি কি লাগবে শুরু করতে
আসলে এফিলিয়েট শুরু করতে কিছুই লাগে না।আবার অনেক কিছুই লাগে।তবে কিছুই লাগে না বলতে,কাজ টা শুরু করার জন্য যে আবশ্যক জিনিশ লাগে শুধু তাকেই বোঝানো হয়েছে।যেমন একটা এফিলিয়েট একাউন্ট,একটা ওয়েব সাইট হলে ভালোই হয়।ইত্যাদি।
কি কি লাগে জানতে হলে আগে জানতে হবে,যে আপনি কেন ভাবে শুরু করতে চাচ্ছেন।যদি নতুন হন,বা স্বাধারন এফিলিয়েটে যেতে চান,তাহলে আপনি কোন ধরনের পোডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন সেটা আগে ঠিক করেন।আপনি কি ঘড়ি মোবাইল ,এই ধরনের পন্য নিতে চান।নাকি সপটওয়ার,প্লাগিং এই ধরনের পন্য নিতে চান।নাকি পোষাক নিয়ে কাজ করতে চান।কেউ কেউ হয়তো বলতে পারেন কোনটা নিয়ে ভালো হবে। এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিব ,তবে আপনার জীবন থেকে,আর এটা আপনাকে ই বেছে নিতে হবে।
যদি আপনি শুধু বাংলাদেশ থেকে কাজ করতে চান,তাহলে আমি বলবো,এমাজন নিয়ে কাজ করতে সমস্যা হতে পারে।যদিও সারা মাসে একটা সেল হলেই হয়ে যাবে।কিন্তু নতুন অবস্থায় এই বোকামি টা করা মনে হয় ঠিক হবে না। কারন এমাজন নিয়ে তারাই কাজ করে ,যাদের কিছু বায়ার অলরেডি রয়েছে।যেমন আমি আগে এফিলিয়েট নিয়ে কাজ করতাম তখন আমার অনেক বায়ার ছিল।তারা আমার কাছ থেকে ই আমার এফিলিয়েটে সব কিছু কিনতো।আমি খেেয়াল করে দেখলাম তাদের ভেতরে কিছু বায়ার টাকার ভয় করে না,তারা তাদের পছন্দের জিনিশটাই নিতে যত টাকা দরকার তারা তত টাকাই ব্যায় করতে রাজি।তখন আমাজনে এফিলিয়েট করা যায়।বা যদি আপনি ইন্ডিয়া সহ আরো কিছু দেশে কাজ করতে পারেন ,সে ক্ষেত্রেও আমাজন ব্যাবহার করতে পারেন।তবে,আমি নতুন দের জন্য এটা পুরো নিষেধ করবো।
এর পরে আপনি ওয়ার্ড প্রেসে কিছু টাকা খরচ করে একটা সাইট বানিয়ে কাজ করতে পারলে আরো ভালো হবে।তবে যদি সমার্থ না থাকে ,তাহলে ব্লগারে ফ্রিতেও বানিয়ে নিতে পারেন।এ ক্ষত্রে ইউটিউব আপনাকে হেল্প করবে।ইউটিউব ভিডিও দেখে কাজটি করে নিতে পারেন।কারন একটা ওয়েব সাইট থাকলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
আপনি অবশ্যই অবশ্যই ফেসবুকে একটা পেইজ আর গ্রপ খুলে নিবেন।একটা পেইজ খোলার ফলে আপনার বায়ার গন আপনার লাইফটাইমের জন্য সেট হয়ে যাবে।আর গ্রপে ও তাদের মতামত জানতে পারবেন।এবং পেইজে লাইক বাড়াতে খুব কষ্ট হয়,তাই গ্রুপটা আপনার বায়ারকে সহজেই কাছে নিয়ে আসবে।
আমি বলবো যে কোন একটা নিদৃষ্ট বিষয়ের উপর কাজটি শুরু করেন।পরে ধিরে ধিরে এটা বাড়িয়ে নিতে পারবেন।যদি মোবাইল ,ঘড়ি এই ধরনের পন্য নেন তাহলে শুধু এই গুলোই নিবেন,অন্য কিছু না।আর যদি কাপড় নিয়ে কাজ করেন,তহলে শুধু পোষাক ই নিবেন।আর কিছু না।এই ভাবে কাজ করলে খুব সহজেই সফল হতে পারবেন।তবে প্রথম দিকে একটু কষ্ট হবে। আর আপনি যদি ইঁরেজিতে ভালো হন ,তাহলে বাহিরের রাষ্ট গুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন।অন্যথায় আপনি কখনোই বাহিরের রাষ্ট নিয়ে কাজ করবেন না।আর আপনার কোন বায়ার যদি কখনো খারাপ রিভিউ করতে চায় আপনার কোন পোস্টে,তাহলে তার সাথে সরাসরি যোগযোগ করে তার সমস্যার সমাধান করে নিবেন।
ভবিশ্যত পরিকল্পনা
যদি ভালো করে কাজ করতে থাকেন,তা হলে আপনি ১০-২০ হাজার বায়ার কন্টল করতে পারলেই ভবিশ্যতে নিজেই একটা ই-কমার্স সাইট বানিয়ে ব্যাবসা শুরু করে দিতে পারবেন।আর পাশাপাশি এফিলিয়েট ও চালাতে পারবেন।
অথবা কোন ই-মার্কেট প্লেসের সাথে কন্টাক্ট করে ভালো রেভিনিউর বদলে তাদের পোডাক্ট প্রোমট করে দিতে পারবেন। শুরুতে ইন্টার নেটের সব কাজেই কষ্ট করতে হয়।
পেইড VS ফ্রি
আসলে এফিলিয়েটের ভেতর পেইড আর ফ্রিতে তেমন কিছু নেই ।তবে বোঝানোর সুবিধার্থে আমি ২টা ভাগে ভাগ করছি। পেইড বলতে টাকা খরচ করে কাজ করতে পারেন।আর ফ্রি বলতে একদমই ফ্রি।তবে কিছু কিছু সাইটে এমন থাকতে পারে যে,তাদের কিছু প্যালন আছে ,সেখান থেকে একটা প্যালন কিনলে আপনার কমিশনটা বাড়িয়ে দিবে।
আর আমি বোঝাইতে চাচ্ছি, যেমন ধরেন ব্লগারে আপনি ফ্রিতেই ওয়েবসাইট করে নিতে পারেন।আর ওয়ার্ড প্রেসে টাকা খরচ হবে কিছু।
আবার কিছু টাকা খরচ করলে আপনার ফেসবুক পেইজ কে প্রোমট করে আপনার কাঙ্খিত কিছু বায়ার নিতে পারবেন।তবে এ ক্ষেত্রে কোন সেলের নিশ্চয়তা নেই।এটা সমার্থ থাকলে নিবেন। না হয় দরকার নেই।এটা এমন নয়,যে প্রোমট করলেন আর সব বায়ার রা এসে আপনার লিংক থেকে কেনা শুরু করে দিল।
ফ্রিতে কিভাবে ভালো ফল পাবেন
আপনার কাজের উপর আপনার সেল আসবে।কাজটা যতটা নিখুত হবে ততটাই সেল বাড়বে।সেটা হোক পেইড বা ফ্রি।আর কখনোই ভাববেন না যে,এতটুকু বাকি থাকলে কি হবে।এই ভাবে অবহেলা কখনোই করবেন না।যে কাজটি ধরবেন সেটা সম্পুর্ন না করে ছাড়বেন না।আর শবচেয়ে বেশি বড় হলো,আপনার সঠিক বায়ারদের বাই সেল গ্রুপ থেকে খুজে খুজে বের করে আপনার আয়ত্বে নিয়ে আসবেন। এখানে ফেসবুকের যে মার্কেট প্লেস আছে সেটাও কিন্তু দারুন কাজ করবে।ফেসবু মার্কেট প্লেসে আপনার পোডাক্টের ফটো আর বিস্তারিত বর্ননা দিয়ে পোস্ট করে দিলে আপনার পোডাক্ট অনেকেই কিনতে চাইবে।আর তখন আপনার এফিলিয়েট লিংকটি তাকে প্রোপেইড করলেই হবে।
আর পেইডে কোন নিদৃষ্ট গ্যারান্টি নেই।তবে যদি প্রোমট করেন,তাহলে আজে বাজে প্রোমোটার দের থেকে প্রোমট করে বেসি লাইক বাড়িয়ে নিজের সেল নষ্ট না করে,ভালো কাউকে দিয়ে প্রোমট করাবেন। লাইক কম আসলেও যেন বায়ার বেসি আসে।
কোন সাইট নিয়ে কাজ করলে ভালো হবে
এটার উত্তর আপনার নিজের থেকে বের করুন।তবে এই টুকু বলব,যে বেসি টাকা আয় করার নেশায় বায়ারের ভালোবাসা হাড়াবেন না।আর বাংলাদেশ থেকে দারাজ,বিডিশপ সহ অনেকেই এফিলিয়েট ওয়ে রেখেছে।তাদের যে কোন সাইট নিয়েই কাজ করতে পারেন।
আর ইন্টার ন্যাশনাল হিসেবে আলিবাবা,অ্যামাজন ,জে ভিজো,জুম,পেপাল ইত্যাদি রয়েছে।এটা ইউটিউব বা গুগল থেকে খুজে নিন।
আগামী পোস্টে প্রাক্টিকালে দেখিয়ে দিব।আগামী সব পোস্টের সাথেই থাকুন।
1 Comments
Online Casino Site Lucky Club
ReplyDeleteLucky Club offers the best 카지노사이트luckclub in online casino betting, blackjack, poker and Vegas online casino, a place where you can place real money bets and win real money.