Header Ads Widget

Facebook পেজ এবং প্রফাইল থেকে খুব সহজে টাকা আয় করার উপায় গুলো

 ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায় এই বিষয়টি জানতে কেউই হয়তো এখন বাকি নেই। আমরা সবাই ই জেনে গেছি যে, ফেসবুক থেকে কয়েকটি উপায়ে টাকা আয় করা যায়।

কিন্তু সবাই হয়তো এটা জানেন না যে, ফেসবুক থেকে আসলে কোন কোন ভাবে টাকা আয় করা সম্ভব। আবার জানলেও বিষয়টা কাজে লাগাতে পারেন না। কাজ করতে না পারার পেছনেও একটা কারন রয়েছে।

facebook earning


আমরা কাজ না বুঝেই সেখানে ঘাটাঘাটি শুরু করে দেই। একবারও চিন্তা করিনা যে , আমি যে কাজটা করতে যাচ্ছি সেখানে কি  কি বিষয়ে জানা আমার জন্য জরুরি। ইনকাম করার জন্য আমার কি ধরনের যোগ্যতা দরকার হবে।


আমরা খেয়াল করলে দেখতে পাবো, গত ২-৩ বছর ধরে, আমার মনে হয় যে এমন কাউকে পাওয়া যাবে না, যে ২-৪ টা ইউটিউব চ্যানেল খুলে নাই।  অথচ তারা এটাও জানে না যে ইউটিউব আসলে কি, বা ইউটিব থেকে কত ভাবে বা কি করে টাকা আয় করতে হয়।

এই সকল মানুষগুলোর জন্য ইউটিউব তাদের নিয়মনিতিকেও আগের তুলনায় অনেক কঠিন করে দিয়েছে। এর ফলে যারা প্রফেসনাল ভাবে কাজকরতে চায়, তাদের জন্যও তুলনা মুলক কিছুটা কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।


ফেসবুক থেকে ইনকামের জন্য কি কি প্রয়োজন

আজ যেহেতু ফেসবুক থেকে ইনকাম করার বিষয়ে পোস্ট করেছি, তাই ফেসবুক থেকে ইনকামের বিস্তারিত সকল বিষয়ই এখানে তুলে ধরবো । তবে পুরো পোস্ট টি না পড়লে ফেসবুক থেকে কখনোই টাকা আয় করতে পারবেন না।

আগে পুরো পোস্টটি ভালো করে পড়েন, ভালো করে বুঝেন। তার পরে না হয় টাকার চিন্তা মাথায় নিয়েন।

ফেসবুক থেকে ইনকামের জন্য একটা ফেসবুক পেজ বা একটা ফেসবুক প্রফাইল লাগবে। আর এটাই ইন্টপর্টেন্ট। স্বাধারনত ফেসবুকে দেশ ভিত্তিক কিছু ইনকাম সিস্টেম রয়েছে। তাই আমি যেহেতু বাংলায় পোস্টটি লিখেছি, তাই এখানে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার ইনকাম করার উপায়গুলো বলবো।

বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ায় ফেসবুক ইনকামের যে সকল সুযোগ আছে,
  • ফেসবুক রিলস্ বা শর্ট ভিডিও
  • পেজে লাইভ স্টিম
  • পেজে ভিডিও আপলোড
  • পেজে পেইড ইভেন্ট
  • পেজে  স্পন্সার করে
  • এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাবসা বা লোকাল ওয়ে ইনকাম।

ফেসবুক রিলস্ বা শর্ট ভিডিও থেকে ইনকাম

ফেসবুকের নতুন একটা ফিচার এসেছে, যাকে ফেসবুক রিলস নাম দিয়েছে, স্বাধারনত ওটাকে টিকটক ভিডিও, শর্ট ভিডিও, মিনি ভিডিও ইত্যাদি বলে থাকে।

এই বিষয়টি সমন্ধে জানে না, এমন কেউই নেই। আপনারা লক্ষ করলে দেখবেন, এখানে ছোট ছোট ভিডিওতে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয়ে থাকে। আসলে ফেসবুক এই ভিডিওগুলোকে অটোমেটিক সবার সামনে নিয়ে যায়। আর অল্প সময়েই অনেক অনেক ভিউ হয়ে থাকে।

যদিও রিলস ভিডিওর অফশনটা কিছুদিন আগে এসেছে, কিন্তু ফেসবুক কম্পানি এখানে ইনকামের জন্য ব্যাবস্থা করে দিয়েছে। প্রথম দিকে ফেসবুক কম্পানি অনেক টাকা ব্যায় করে , এখানে একটা বোনাস প্রগ্রাম করে দিয়েছিল।

তবে এখন এই রিলস অপশনে সরাসরি অ্যাড দেখানোর মাধ্যমেই এখান থেকে টাকা আয় করা যাচ্ছে। এটা ইন্ডিয়া সহ কিছু কিছু দেশে চালু রয়েছে, তবে বাংলাদেশে এখনো চালু হয় নাই। তবে বাংলাদেশ থেকে গেমিং ভিডিওর মাধ্যমে রিলস থেকে ইনকাম করা যায়। যদিও কিছু মানুষ ফানি, ইমোশোনাল সহ অন্যন্য ক্যাটাগরির ভিডির সাথে গেমিং ভিডির অংশ ব্যাবহার করে, সেখান থেকে ইনকাম করতেছে। এটাকে ফেসবুকের একটা দুর্বলতাও বলতে পারেন।

তবে ফেসবুক তাদের স্টাটাসের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে, আগামি ২০২৩এর ফেব্রুয়ারীতে তারা বাংলাদেশ সহ আরো কয়েকটি দেশে এটা চালু করে দিবে। তখন হয়তো এখানে নতুন কোন মিশন ফুল করার কথা আসতে পারে।

এই রিলস ভিডিও আপলোড করে সেখানে মনিটাইজ করে, সেখান থেকে ইনকাম করতে হয়। তবে এই ইনকামটাও ফেসবুক আপনার ভিডিওতে বিঞ্জাপন দেখাবে, আর সেখান থেকে কিছু অংশ দিবে।

যে কোন ধরনের পেজ থেকেই আপনি খুব সহজে , পেজের রিলস মনিটাইজেশন অপশন থেকে , আপনার পেজের রিলস ভিডিও গুলো মনিটাইজেশন করে নিতে পারবেন।

তবে প্রফাইলের ক্ষেত্রে একটুভিন্ন, প্রফাইলে মনিটাইজেশন করাতে হলে, আগে আপনার একাউন্টটা প্রফেশনাল মোডে নিতে হবে। এখন প্রফেশনাল মোড অ্যাভেলাবেল সব একাউন্টেই আছ, তাই চিন্তা করার দরকার নাই।

আর এই প্রফেশনাল একাউন্ট থেকে আপনি আপনার রিলস কে মনিটাইজ করিয়ে নিতে পারবেন।

এখানকার ইনকাম টা যেহেতু অ্যাডের মাধ্যমে আসবে, তাই ইনকাম সমন্ধে নির্ধারিত কিছু বলা সম্ভব না। এটা কান্ট্রি ভিত্তিক, ভিডিওর ক্যাটাগরি, অ্যাড সিপিসি সহ বিভিন্ন বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত থাকে। এই রিলসের পেমেন্টটাও ১০০ ডলার হোয়ার পরে, মাসের শেষ দিকে দিবে।

ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম

আশা করি , সবাই ই জানেন যে, ফেসবুক পেজ থেকে অনেক ভাবেই ইনকাম করা যায়। তার মধ্যে রয়েছে, ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং, বিভিন্ন মার্কেটিং, পাটনারশিপ মনিটাইজেশন, লাইভ স্টিম মনিটাইজেশন, ভিডিও মনিটাইজেশন, পেইড ইভেন্ট, ইত্যাদি।

মার্কেটিং নিয়ে আমাদের আগে কয়েকটি পোস্ট আছে, সেগুলো পড়লে ভালো করে বুঝতে পারবেন, তাই যেহেতু আমাদের আলোচনা মার্কেটিং নিয়ে নয়, তাই ওদিকে জাবো না। যদি কেউ মার্কেটিং করতে চান, বা মার্কেটিং সমন্ধে জানতে চান, তাহলে আমাদের আগের পোস্টগুলো পড়ে আসতে পারেন।

মার্কেটিং  এর কিছু পোস্ট


 
এর পরেই ফেসবুকের দেওয়া ইনকাম কারার উপায় গুলো। সম্পতি চালু হওয়া রিলস নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করে এসেছি, এখন ক্রমগত একটা একটা করে আলোচনা করবো। তার পরেও যদি কারো কোন সমস্যা হয়, তাহলে আমাদের সাথে যোতাযোগ করবেন বা কমেন্ট করবেন, আমরা যত তারাতারি সম্ভব আপনার সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো।

ফেসবুকে যদি লাইভ ভিডিও করে সেখান থেকে ইনকাম করতে চান, তাহলে প্রথমে লাইভে আপনার মনিটাইজেশন করে নিতে হবে।

লাইভে মনিটাইজেশন করার জন্য, ১০ হাজার ফলোয়ার এবং মিনিমাম ৫ টি লাইভ ভিডিও, সাথে ৬ লক্ষ মিনিট লাইভ থেকে আসা ওয়াচ টাইম, বা আপনার লাইভে ৬ লক্ষ মিনিট মানুষের দেখতে হবে।

তার পরে আপনি অ্যাপলাই করতে পারবেন, তবে যদি কপিরাইট, বা কমিনিটি স্টাইক থাকে , তাহলে সেটা উঠতে অনেক সময় লাগতে পারে, ফলে মনিটাইজেশন নাও হতে পারে, তাই এই বিষয়ে লক্ষ রাখবেন।

ভিডিও থেকে ইনকাম করার জন্য, আপনার পেজে কমপক্ষে ৫ টি ভিডিও থাকতে হবে, ৬লক্ষ মিনিট ওয়াচ টাইম হতে হবে। আর কোন ধরনের স্টাইক থাকলে মনিটাইজেশন করাতে পারবেন না। এবং এখানকার ওয়াচ টাইম আপনার লাইভ স্টিম থেকে কিন্তু কাউন্ট করা হবে না।

এর পরে রয়েছে পেইড ইভেন্ট, পেইড ইভেন্ট থেকেও ইনকাম করতে পারেন। পেইড ইভেন্ট মানে হলো, আপনি একটা ইভেন্ট করবেন, সেখানে মানুষ যদি জয়েন করতে চায়, তাহলে তাদের কাছ থেকে আপনি নিদৃষ্ট পরিমানে টাকা নিবেন, এই টাকাটা ফেসবুক তাদের কাছ থেকে আপনাকে এনে দিবে।

তবে এই পেইড ইভেন্ট থেকে ইনকাম করাটা  এতো সহজ না। কেননা আপনি একটা ইভেন্ট করলেই কি মানুষ সেখানে টাকা খরচ করে ঢুকবে, যদি এখান থেকে ইনকাম করতে হয় ,তাহলে এমন কিছু বিষয়ে ইভেন্ট করতে হবে, যেখান থেকে মানুষ কিছু জানতে পারবে, আর সে জন্যই হয়তো টাকা  দিয়ে জয়েন করতে পারে।

পার্টানার শিপ থেকেও ইনকাম করা যায়, এখানে মাত্র ১ হাজার ফলোয়ার হলেই হবে। কিন্তু এখান থেকে ইনকাম অনেক কম হওয়ায় এটা নিয়ে কেউ ই কাজ করে না।

পার্টনার বলতে আপনি আপনার পেজে যে কোন পোস্টেই কোন একটা কম্পানির পন্য প্রোমট করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য কোন রকম ভিডিও  না থাকলেও হবে। তবে পেজটা কোয়ালিটি ফুল হতে হবে, তা না হলে আপার সাথে কোন কম্পানি ই পার্টানারশিপ করবে না।

ফেসবুক গ্রুপ থেকে টাকা ইনকাম

ফেসবুক গ্রুপ থেকেও টাকা আয় করা যায়। আর এখানেও মনিটাইজ করতে হয়। এখানে মনিটাইজ করানোর জন্য, ১ হাজার মেম্বর লাগে, আর কোন রকম কোন স্টেইক থাকলে মনিটাইজেশন করতে পারবেন না।

গ্রুপের জন্যও পার্টনারশিপ বা ব্রান্ডকলাব মনিটাইজেশন বলে। এর জন্য গ্রুপটা পরিপাঠি রাখতে হবে, যাতে ব্রান্ডগুলো আপনার গ্রুপে তাদের পন্যের প্রচার করতে ইচ্চুক হয়।

আর সাথে সাথে, ওই গ্রুপের কোন মেম্বর যদি গ্রুপে থেকে ফেসবুকের কোন নিতি অমান্য করে, তাহলে কিন্তু আপনার গ্রুপটি মনিটাইজেশন হারাতে পারে, বা সিমিত সময়ের জন্য মনিটাইজেশন বন্ধ থাকতে পারে। তাই সব কিছু মডারেশন করা দরকার।

এই মনিটাইজেশনটি গ্রুপের জন্য নিতে হলে, যেই গ্রুপের জন্য নিবেন, সেই গ্রুপটাকে পাবলিক করে রাখতে হবে। বেশি বেশি মেম্বর ইনভাইট করলে কিন্তু পলেসি ভাওয়ালেসন আসবে, আর কখনোই আপনি ওই গ্রুপটা মনিটাইজেশন করতে পারবেন না।


ফেসবুক মনিটাইজেশনের কিছু প্রশ্নোত্তর

 অনেকেই মনে করেন যে, এখান থেকে যে কোন একটা উপায়ে মনিটাইজেশন করা যাবে। তবে আসলে বিষয়টি তেমন না। আপনি চাইলে এখানকার সকল উপায়ে এক সাথে একই একাউন্ট বা পেজে চালু করে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

যেমন  আপনি লাইভ ভিডিও করলেন, সেখানে লাইভ ভিডিও থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন, আর সেই ভিডিওটা তো থেকেই যাচ্ছে আপনার পাজে, সেখান থেকেও আবার ভিসিটর হলে, সেখানেও অ্যাড দেওয়া হবে, আর সেখান থেকেও ইনকাম আসবে।

কখনোই অন্যের ভিডিও নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবেন না। কেননা পরের কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করে কখনোই সফল হতে পারবেন না। কপিরাইট ভিডিও কখনোই ভাইরাল হয় না।

আর যদিও কোন ২-১ টা ভিডিও ভাইরাল হয়েও যায়, তবুও কপিরাইট ভিডিওতে কাজ করে বেশিদিন টিকে থাকতে পারবেন না। তাই কপি করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।

যারা লাইভস্টিম করতে চান, বা বিভিন্ন ওল্ড ভিডিও লাইভে দেখাতে চান, তাদের জন্য আমরা খুব তারাতারি একটা অ্যাপ শেয়ার করবো, সেই অ্যাপটি ব্যাবহার করে, খুব সহজেই আপনি এক সাথে সারা মাসের লাইভ সেট করে রাখতে পারবেন, শুধু মাত্র ভিডিওর লিংক এর মাধ্যমে। আর আপনার দেওয়া নির্ধারিত সময়েই আপনার কাঙ্খিত ভিডিওটা লাইভ শুরু হবে।

আবার অনেকেই বলে থাকেন যে, ভিডিওতে ভিউস হয় না, বা ভিডিও ভাইরাল হয় না কেন । তাদের জন্য নিচে একটা উপায় বলে দিব , আশা করি ভিডিও ১০০ ভাগ ভাইরাল হবে।

ফেসবুক থেকে ইনকামের টাকা সরাসরি ১০০ ডলার হওয়ার পরে ব্যাংকে চলে আসে। ফেসবুক মনিটাইজেশনের পরে, ব্যাংক একাউন্ট না অ্যাড করা পর্যন্ত আপনার ইনকাম শুরু হবে না। তাই মনিটাইজেশন হলেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অ্যাড করে ফেলবেন।

ফেসবুকে গুগলের মতো চিঠি নিয়ে কোন ঝামেলায় পরা লাগে না। ফেসবুক অ্যাড্রেস ভেরিফাই চায় না।

ফেসবুক বা ইউটিউবের ভিডিও দ্রুত ভাইরাল করার উপায়

আমরা যারা ইউটিবে বা ফেসবুকে কাজ করি, তারা নিজেদের ভিডিওকে সবসময় ই তারা তারি ভাইরাল করার চেষ্টা করে থাকি।  অনে সঠিক বিষয় গুলো না জানার কারনে সম্ভব হয় না।

আজ যে টিকস গুলো শিখেয়ে দিব, আশা করি খুব তারাতারি ভাইরাল করতে পারবেন ভিডিওগুলো।

আপনারা লক্ষ করে দেখবেন, কিছু কিছু ভিডিও হঠাৎ অনেক ভাইরাল হয়ে যায়। সব ভিডিও ই এক সময়ে ছারলেন, কিন্তু একটা হঠাৎ ভাইরাল হওয়ার করন হলো, ওই ভিডিওটা সঠিক টাইমে আপলোড করা হয়েছে।

হয়তো ভিডিওটা এমন কোন সময় আপলোড করেছেন, যখন সবাই অনলাইনে ছিল, ফলে সবাই ই কম বেশি দেখেছে, তার ফলে ভিডিওটা রেংক করেছে। আবার ভিডিও টাইটেল ও থাম্বেইলের ওপরেও অনেক কিঠু নির্ভর করে।

আর এসইও তো করা খুব দরকার, যদি কেউ পারেন মোটামোটি এসইও করে দিবেন ভিডিওটা,ভিডিওর টাইটেল, থাম্বেইল, ডিসক্রেপশন বক্স, ট্যাগ ইত্যাদি। আর হ্যাস ট্যাগ ব্যাবহার করার চেষ্টা করবেন।

সব সময় চেষ্টা করবেন, বড় বড় ইউটিব বা ফেসবুক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের ফলো করার। তারা কখন ভিডিও আপলোড করে, তাদের থাম্বেইল কেমন হয়, তাদের টাইটেল কেমন, ডিসক্রেপশন বক্সে কি আর কিভাবে লেখে, ইত্যাদি বিষয় ফলো করার মাধ্যেই খুব সহজে তারাতারি ভাইরাল করতে পারবেন ভিডিও।

আর শেয়ার করার বিষয়টা তো রয়েই যায়। ভিডিও শেয়ারের ফলে ভিডিওর রেংক বেড়ে যায়। তবে কেউ আবার ভিউর চেয়ে শেয়ারের সংখ্যা বাড়াই ফেইলেন না। আর ভুলেও কখনো নিজের ভিডিও নিজের ফোন বা আপনি যে নেটওয়ার্কে আছেন সেই নেটওয়ার্কে কোন ডিভাইসের মাধ্যমে দেখবেন না।

ভিডিও তৈরি করার সময়ে এতুটুকু চিন্তা করবেন, যে এই ভিডিওটা আপার না হয়ে অন্য কারো হলে, আর আপনার সামনে আসলে আপনি ভিডিওটা কি দেখতেন, বা দেখলেও কত ক্ষানি দেখতেন, বিরক্ত বোধ করতেন নাতো। যদি আপনার কাছে বিরক্ত বোধ হয় আপনার ভিডিওটা দেখে, তাহলে সেটি মানুষ কখনোই দেখবে না।

তাই সবসময় ই চিন্তা করবেন , যে এই ভিডিওটা অন্য কারো হলে, আপনি এটাকে ১০ এর মধ্য়ে কত নম্বর দিতেন। আর তাহলে তো বুঝেন ই আপনার কত পয়েন্ট পাওয়ার যোগ্য ভিডিও বানানো উচিৎ।

আর শেয়ার এর জন্য ইউটিউব যেমন তেমন, ফেসবুকের অধিকাংশ ভিডিও ভাইরাল হয় ই শেয়ারের মাধ্যমে। তবে বর্তমান সময়ে সব ধরনের শেয়ারে সমস্যা করে। ফেসবুকের রুলস না মেনে শেয়ার করলে আপনার একাউন্টি ব্লক হতে পারে।
 
তাই একাধিক একাউন্ট থেকে শেয়ার করে দিবেন। আর শেয়ার করা যেহেতু সব ধরনেন গ্রুপে এলাউ হবে না, যেহেতু অনেকে গ্রুপে মনিটাইজেশন করায় তাই,  শেয়ার করার জন্য উপযোক্ত গ্রুপ গুলো খুজে বের করতে হবে।

১ হাজার ২ হাজার ৫ হাজার মেম্বর থাকা গ্রুপে শেয়ার করলে কোন লাভ হবে না। তাই শেয়ার করতে হবে ভালো বড় বড় গ্র্পে, যেখানে শেয়ার করা পোস্ট এপ্রুভ করবে। তাহলেই সার্থক হতে পারবেন।

আর এই বড় লিংক শেয়ারের উপযোক্ত ২০০-৫০০ গ্রুপের একটা লিস্ট এবং শেয়ারের সঠিক নিয়ম নিয়ে আমরা আগামিতে একটা পোস্ট করতে চলেছি, আশা করি সেই পোস্ট থেকে গ্রুপ গুলোর লিংক নিবেন এবং সেই গ্রুপ গুলো কাজে লাগিয়ে ভিডিও রেংক করাবেন। 

ওই গ্রুপ গুলোতে ঢুকলেই বুঝতে পারবেন যে, লিংক শেয়ারের ফলে কত বেশি ভিসিটর আসতে পারে। হাজার হাজার মানুষ তাদের ভিডিও শেয়ার করানোর জন্য টাকা দিয়ে লোক নিয়োগ করে।

আজ এই পর্যন্তই, আশা করি কমেন্ট করে সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন।

Post a Comment

0 Comments