বাদাম আমাদের দেশের একটি প্রচলিত আর প্রশারিত খাদ্য। তবে এই বাদামেও রয়েছে ভালো এবং খারাপ বিষয়গুলো। তাছাড়াও অনেক ধরনের বাদাম রয়েছে এই পৃথিবী জুড়ে। আর এই সকল বাদামের কিছু কিছু ব্যাবধান তো অবশ্যই আছে।
তাই আজ এই পোস্টে বাদাম সম্পর্কে সম্পুর্ন ক্লিয়ার করে দিব। যে বাদামে কি কি উপকরিতা আছে, আর কোন বাদামে কতটা ক্ষতি করে আমাদের। বাদাম দিয়ে কি কি খাবার তৈরি করা হয় আর কোন কোন কাজে লাগে।
আর এই সম্পুর্ন পোস্টে যে সকল বিষয় থাকছে
- বাদামের উপকারিতা
- কাঠ বাদামের উপকারিতা
- কাজু বাদামের উপকারিতা
- কাঁচা বাদামের উপকারিতা
- বাদাম খাওয়ার সঠিক নিয়ম
- রাতে বাদাম খাওয়ার উপকারীতা ও ক্ষতি বা অপকারীতা
- চীনা বাদামের উপকরিতা ও ক্ষতিকরিতা
- ভাজা বাদামের উপকরিতা
- বাদাম কি কি কাজে লাগে
এক কথায় বাদামের সকল বিষয়ে ক্লিয়ার করে দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাই সম্পুর্ন পোস্টটি পড়ে বাদাম সমন্ধে সকল তথ্য জেনে নিন।
বাদামের উপকারিতা
শত শত রকমের উপকরিতা আছে বাদামে । যা সব হয়তো এই পোস্টে বলাটা সম্ভব হবে না, তাই আদ যতটা সম্ভব বলার চেষ্টা করবো।
আমাদের দেশের জনপ্রিয় একটা খাবার, বিশেষ করে কিছু কিছু সময় যখন আমরা কোন একটা কনসার্ট বা এই ধরনের কিছু উপভোগ করতে থাকি, তখন এই বাদাম আমাদের কাছে প্রিয় একটা বস্তু হয়ে যায়।
তাছাড়াও অনেক ধরনের খাবারের সাথেই বাদাম বিভিন্ন ভাবে মেশানো হয়ে থাকে, এতে খাবারটির স্বাধ অনেক গুন বেড়ে যায়।
আর আজ বাদামের কিছু উপকরিতা এবং ক্ষতিকর বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। প্রথমত এটার উপকরীতাই বেশি, আর বাদামের উপকরিতা হলোঃ
- বাদামো রয়েছে প্রচুর ক্লোলেস্টেরল, যা শরিরের জন্য দারুন উপকারী।
- বাদামে এতোটাই উপকারী উপাদান থাকে যে, এটা শরিরের রোগ পতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, আর শরীরকে শক্ত এবং সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
- বাদাম আমাদের শরিরের রক্তের ভার্সম্য ঠিক রাখতে পারে,ফলে ডায়াবেটিক্স, প্রেশার হৃদরোগ বা হার্ডের রোগ, ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।
- বাদামে থাকে ফলিক এসিড, যেটা ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগ থেকে বাচতে সহায়তা করে।
- বাদামে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও আয়রন। এটা আমাদের মস্তিস্ক ঠান্ডা রাখে, এবং আমাদের ব্রেইনকে সচ্চল করে। আর সারেরিক গঠনকে সুদর্সন করে, হারকে শক্ত করে এবং চেহারা ও গঠনকে সঠিক ভার্সম্যে ধরে রাখে।
ফলে বয়স বেশি হলেও সহজে বোঝা যায় না। বয়স্ক হলেও শারেরিক শক্তি ঠিক থাকে।
- বাদামে আংশিক ফাইভার থাকায় হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়।
- বাদাম খেলে দাতের ক্ষতি বা ক্ষয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, এবং সৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয়।
- বাদাম শরিরকে শক্ত করতে সাহায্য করে, এবং অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- চুলকে শক্ত আর কালো লম্বা করতেও সাহায্য করে বাদাম।
কাঠ বাদাম ও কাজু বাদামের উপকারিতা
বাদামের বিভিন্ন জাত বা প্রকার রয়েছে, তবে প্রায় সব বাদামেই এক রকম কাজ করে, আবার কোন কোন বাদামে আরো বেশি উপকরী উপাদান পাওয়া যায়।
কাঠ বাদাম ও কাজু বাদামে প্রচুর প্রটিন থাকে, এটা আমাদের শারিরক অনেক বড় ধরনের উপকার করে থাকে, বিশেষ করে সঠিক পুষ্টি নিয়ে বাচ্চাদের বেড়ে ওঠায় বিশেষ ভমিকা রাখে প্রটিন।
তাছাড়াও শরিরের ঘাড়তি পুরন এবং শক্তি জোগাতে প্রটিনের অবাদান সবার উপরে। আর এই কাঠ বাদাম এবং কাজু বাদামে প্রচুর প্রটিন থাকে। তবে চীনা বাদামেও কিন্তু কম নয়।
কাঁচা বাদামের উপকারিতা
ভাজা বাদামের চেয়ে কাচা বাদামের উপকরীতা কয়েক গুন বেশি থাকে, যেটা ভাজার পরে হাড়িয়ে ফেলে। তবে কিন্তু ভাজা বাদাও কম নয়।
যদি কাচা বাদাম খেতে সক্ষম হন, তাহলে অনেক বেশি ভালো হবে। আর কাজু বাদাম ও কাঠ বাদাম স্বধারনত কাচাই খেয়ে থাকে। তবে অনেকের কাছে চীনা বাদাম কাচা খাওয়ায় বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে, বা এটা প্রথম দিকে কুৎসিত লাগতে পারে, তাই ভেজেও খেতে পারেন।
তবে সবসময় ই মনে রাখবেন, ভাজা বাদাম বা বিভিন্ন খাদ্যে মেশানো বা শিদ্ধ হয়ে যাওয়া বাদামের তুলনায় কাচা বাদামে উপকার অনেক গুন বেশি। তাই চেষ্টা করবেন কাচা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করতে।
বাদাম খাওয়ার সঠিক নিয়ম
বাদাম খাওয়া সবচেয়ে ভালো উপায় ই হলো কাচা খাওয়া। তবে সম্ভব না হলে খাবারের সাথে মিশিয়ে বা ভেজে ও খেতে পারেন। আর স্বাধারনত কাচা বাদাম সব জাগয়াতে পাওয়া যায় না।
আর প্রতিদন সকালে কাচা বাদাম খেতে পারলে অনেক উপকার পাবেন, কেননা তখন শক্তিটা শরিরে প্রচুর ভাবে ক্রাশ করতে থাকে।
তাছাড়াও রাতেও বাদাম খেতে পারেন, রাতে বাদাম খেলেও ভালো ফল পাওয়া যায়। সম্ভব হলে গড়ম দধের সাথে কাচা বাদাম খাবেন, সেটা কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম বা চীনা বাদাম হতে পারে।
তবে যখন ই খাবেন, নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে, কেননা নিয়মিত কোন জিনিশ না করলে, সেখান থেকে তেমন ভালো কিছু আশা করা যায় না।
চীনা বাদামের উপকরিতা ও ক্ষতিকরিতা
স্বাধারনত আমরা চীনা বাদাম ই বেশি খেয়ে থাকি, তাই এর ক্ষতিকর দিক গুলোও জানা দরকার।
ডাক্টারদের কথা মতে, বাদাম খাওয়ার পরে পানি খেলে শরিরে এলার্জি জনিত রোগ দেখা যেতে পারে। আবার বাদাম শরিরকে গড়ম করে, বা রক্ত চলাচল করা বাড়ায়, ফলে সাথে সাথে বাদাম খাওয়ায় ঠান্ডা কাশি বা এই ধরনের রোগ দেখা যেতে পারে।
এছাড়াও বাদামের তেল পানিতে মিশে গ্যাস্টিক বা এই ধরনের রোগ দেখা যেতে পারে, আবার পেটে অশুখ দেখা যেতে পারে। তবে এটা শুধু মাত্র চীনা বাদাম ভেজে খাওয়ার কারনে হতে পারে।
কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম বা কাচা চীনা বাদামের কথা এখানে বলা হয়নি। তবে স্বাধারনত যে কোন বাদাম বা যে কোন খাদ্য খাওয়ার ই প্রায় ৫ থেকে ১৫ মিনিট পরে পানি খাওয়া উচিৎ, থলে তারা ক্ষতিকর দিক বা গ্যাস্টিক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আশা করি এই পোস্টটি সবার জন্যই অনেক উপকারী হবে, আর এই ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের সাইটের সাথেই থাকুন।
0 Comments