বর্তমানের বিশাল একটি জেনারেশন বিদেশের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। এরা যেন, দেশ ছাড়তে পারলেই বাচে। যদি এই যুবক ছেলেগুলো বিদেশ না গিয়ে দেশে বসেও ভালো কিছু করতে পারে।
কিন্তু বিদেশ গেলেও বিদেশি মুদ্রা আমাদের দেশ উন্নতির একটি বিশাল অংশ হয়ে আছে, তাই এরাও দেশের অনেক বড় একটা উন্নতি করবে।
এই পোস্টে বিদেশ নিয়ে সকল তথ্য শেয়ার করবো। আর বিদেশে যাওয়ার বা যে কোন চাকরি বা কর্মস্থলের সকল নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের এই সাইট এবং আমাদের নিউজ সাইটের সাথেই থাকুন।
বিদেশ যাওয়ার জন্য আমাদের কোন একটি মাধ্যম দরকার হয়। কোন মাধ্যম ছাড়া আমরা সরাসরি গেলে আমাদের বিপদে পড়তে হয়। তার সাথেে দালালের মাধ্যমে গেলেও বিপদের শেষ থাকে না।
এই পোস্টে আমরা বৈধ ভাবে বিদেশ যাওয়ার সকল প্রসেস জানাবো। আর এজেন্সি, অ্যামবাসি সহ সব অফিসের তথ্য দিব।
বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি কি
- বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (BOESL)
বাংলাদেশ কাউন্সিল অফ রিক্রুটিং এজেন্সিজ (BACRA)
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO)
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (MoEWOE)
এছাড়াও আরও অনেক ছোটো-বড়ো এজেন্সি আছে।
এছাড়াও আরও অনেক ছোটো-বড়ো এজেন্সি আছে। এগুলো সঠিকভাবে চিনে নিতে পারলেই নিরাপদ। এগুলে চিনে নেওয়া আপনাদের দ্বায়ীত্ব।
এজেন্সি নির্বাচনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত:
- এজেন্সির লাইসেন্স আছে কি?
- এজেন্সির খ্যাতি কেমন?
- এজেন্সির অভিজ্ঞতা কত?
- এজেন্সির ফি কত?
- এজেন্সি যেসব দেশে কাজ পাঠায় সেগুলো কেমন?
এজেন্সির সাথে চুক্তি করার আগে চুক্তিপত্র ভালো করে পড়ে নেওয়া উচিত।
বিদেশ যাওয়ার জন্য এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করার বাইরেও আরও অনেক উপায় আছে।
নিজে নিজে অনলাইনে আবেদন করা যায়। অনলাইনে আবেদন করার সময় সব তথ্য নিজে নিজে ভালো করে দেখে নিবেন, তাহলে ই ভালো হবে। আর টাকাও বেচে জাবে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ
বিদেশ যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হতে পারে। কেননা কোথাও জাবেন, সেখানকার নিয়ম না জানলে, সেখানকার কথা না বুঝলে তারা তো আপনাকে কোন কাজ ই করতে দিবে না। আর এই প্রশিক্ষনের অভাবেই অনেকে হাল ছেড়ে দেয়, ভালো কিছু করতে পারে না। আর সময় নষ্ট করে ফেলে
কিছু জনপ্রিয় প্রশিক্ষণ হলো:
- ভাষা প্রশিক্ষণ: বিদেশ যাওয়ার জন্য সেই দেশের ভাষা জানাটা খুবই জরুরি। তাই অনেকে ভাষা প্রশিক্ষণ নেন।
- কর্ম দক্ষতা প্রশিক্ষণ: বিদেশে অনেক কাজের জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয়। তাই অনেকে এই ধরণের প্রশিক্ষণ নেন।
- সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ: বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ভিন্ন ভিন্ন হয়। তাই বিদেশ যাওয়ার আগে সেই দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা ভালো।
- ভ্রমণ প্রশিক্ষণ: বিদেশ ভ্রমণের জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়। তাই অনেকে ভ্রমণ প্রশিক্ষণ নেন।
- এছাড়াও আরও অনেক ধরণের প্রশিক্ষণ আছে।
এবার একটি সঠিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আমাদের প্রশিক্ষন নিতে হবে। মাত্র অল্প কিছু দিনের অবহেলা করলে আপনি প্রশিক্ষনটি নিতে পারবেন না, এতে আপানর পরবর্তি জীবনে সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা হয়ে আসবে এটি।
প্রশিক্ষণ কোথায় পাওয়া যায়:
- বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
- অনলাইনেও অনেক প্রশিক্ষণ পাওয়া যায়।
প্রশিক্ষণের খরচ:
- প্রশিক্ষণের ধরন ও প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে খরচ ভিন্ন ভিন্ন হয়।
এই প্রশিক্ষনের হাজার রকমের সুবিধা রয়েছে। জীবন বাচানো থেকে শুরু করে, মানুষের সাথে কথা বলা পর্যন্ত সকল বিষয়ে ধারনা পাবেন।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এর অধীনে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (BOESL) কাজ করে। BOESL বিভিন্ন দেশের সাথে চুক্তি করে সরকারিভাবে কর্মী পাঠায়।
BOESL এর মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন:
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা SSC/HSC/Diploma/Equivalent।
- বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে।
- প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
BOESL এর মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে হবে:
- BOESL এর ওয়েবসাইট থেকে নিবন্ধন ফর্ম ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে ফর্মটি BOESL এর যেকোনো অফিসে জমা দিতে হবে।
- BOESL কর্তৃক নির্বাচিত হলে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।
- প্রশিক্ষণ শেষে BOESL কর্তৃক ব্যবস্থাপনায় বিদেশ যাওয়া যাবে।
BOESL এর মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার জন্য কোনো খরচ লাগে না।
BOESL ছাড়াও আরও কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান আছে যাদের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়া যায়।
আপনাদের সুবিধা মতো যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকেই আপনারা বিদেশে যেতে পারেন। কেউ ই আপনাদের বাধা দিবে না। তবে অবৈধ পথে গেলে বাধা দিবে, না মানলে নিজেই ক্ষতিতে পরবেন।
কিছু জনপ্রিয় সরকারি প্রতিষ্ঠান হলো:
- বাংলাদেশ পুলিশ
- বাংলাদেশ আনসার
- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
- বাংলাদেশ বিমানবাহিনী
- বাংলাদেশ নৌবাহিনী
এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরির জন্য নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দেখতে হবে।
এই সুত্রটি গুগল থেকে নেওয়া হয়েছে। উক্ত তথ্যটি AI দিয়েছে।
সরকারি এজেন্সি কোথায়
বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি এজেন্সি অফিস আছে।
কিছু জনপ্রিয় সরকারি এজেন্সি অফিসের অবস্থান হলো:
ঢাকা:
বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (BOESL)
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (MoEWOE)
চট্টগ্রাম:
- BOESL চট্টগ্রাম অফিস
- বিএমইটি চট্টগ্রাম অফিস
- MoEWOE চট্টগ্রাম অফিস
সিলেট:
- BOESL সিলেট অফিস
- বিএমইটি সিলেট অফিস
- MoEWOE সিলেট অফিস
রাজশাহী:
- BOESL রাজশাহী অফিস
- বিএমইটি রাজশাহী অফিস
- MoEWOE রাজশাহী অফিস
বরিশাল:
- BOESL বরিশাল অফিস
- বিএমইটি বরিশাল অফিস
- MoEWOE বরিশাল অফিস
- ইন্টারনেটে সার্চ করে।
- BOESL, বিএমইটি, MoEWOE ওয়েবসাইটে গিয়ে।
- সরকারি টেলিফোন ডিরেক্টরিতে দেখে।
- সরকারি এজেন্সি অফিসে সরাসরি গিয়ে জিজ্ঞাসা করে।
এছাড়াও আরও অনেক জায়গায় সরকারি এজেন্সি অফিস আছে।
সরকারি এজেন্সি অফিসের ঠিকানা জানতে নিচের উপায়গুলো অনুসরণ করা যায়:
উক্ত লিস্টটি অনেক খোজাখুজি করে পাওয়া হয়েছে। আশাকরি সবার ই উপকার হবে। তার সাথে আপনাদের অন্য কোন তথ্য দরকার হলে কমেন্টে জানাবেন। আগামী কোন পোস্টে এই কম্পানিতে আবেদন করার নিয়মটাও বলে দিব।
ইউরোপ ভিসা এজেন্সি
আপনি যদি ইউরোপে ভ্রমণের জন্য ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি ভিসা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
একটি ভিসা এজেন্সি আপনাকে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাহায্য করতে পারে এবং নিশ্চিত করতে পারে যে আপনার আবেদনটি সঠিকভাবে পূরণ করা হয়েছে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
আপনার জন্য সঠিক ভিসা এজেন্সি বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কয়েকটি টিপস রয়েছে:
- নিশ্চিত করুন যে এজেন্সিটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং বন্ধনযুক্ত।
- এজেন্সির খ্যাতি সম্পর্কে গবেষণা করুন।
- এজেন্সির ফি তুলনা করুন।
- নিশ্চিত করুন যে এজেন্সি আপনার ভ্রমণের নির্দিষ্ট চাহিদাগুলিতে অভিজ্ঞতা
এখানে কিছু সুপরিচিত ইউরোপ ভিসা এজেন্সি রয়েছে:
- VFS Global
- TLScontact
- Eurocenter
- Visa Expres
- WK Visa
এই এজেন্সিগুলির প্রত্যেকটিরই নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি আরও তথ্য পেতে পারেন এবং একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট শেডিউল করতে পারেন।
আপনি যদি ইউরোপ ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তবে আমি আপনাকে একজন অভিজ্ঞ ভিসা এজেন্টের সাথে পরামর্শ করার জন্য উত্সাহিত করি।
তারা আপনাকে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাহায্য করতে পারে এবং নিশ্চিত করতে পারে যে আপনার আবেদনটি সঠিকভাবে পূরণ করা হয়েছে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
আশা রাখি, এই তথ্যগুলো আপনাদের অনেক অনেক কাজে লাগবে। এই ধরনের সকল পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
0 Comments